স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর অধিকতর সংশোধনকল্পে প্রণীত আইন
যেহেতু নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্যসমূহ পূরণকল্পে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৬১ নং আইন) এর অধিকতর সংশোধন সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:—
১। (১) এই আইন স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) (সংশোধন) আইন, ২০২৪ নামে অভিহিত হইবে।
(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।
২০০৯ সনের ৬১ নং আইনে উল্লিখিত সচিব শব্দের সংশোধন২। স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৬১ নং আইন), অতঃপর উক্ত আইন বলিয়া উল্লিখিত, এর সর্বত্র উল্লিখিত “সচিব” শব্দের পরিবর্তে “ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা” শব্দসমূহ এবং “সচিবের” শব্দের পরিবর্তে “ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তার” শব্দসমূহ প্রতিস্থাপিত হইবে।
২০০৯ সনের ৬১ নং আইনের ধারা ২ এর সংশোধন৩। উক্ত আইনের ধারা ২ এর—
(ক) দফা (ক) এ উল্লিখিত “ব্যাটালিয়ান আনসার, বাংলাদেশ রাইফেলস” শব্দসমূহ ও কমার পরিবর্তে “আনসার ব্যাটালিয়ন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ” শব্দসমূহ ও কমা প্রতিস্থাপিত হইবে; এবং
(খ) দফা (৩২) এর পর নিম্নরূপ নূতন দফা (৩২ক) সন্নিবেশিত হইবে, যথা:—
“(৩২ক) “বর্জ্য” অর্থ বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (১৯৯৫ সনের ১ নং আইন) এর ধারা ২ এর দফা (ঠ) এ সংজ্ঞায়িত বর্জ্য;”।
৪| ২০০৯ সনের ৬১ নং আইনের ধারা ৫ এর সংশোধন৪| উক্ত আইনের ধারা ৫ এর উপ-ধারা (২) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (২) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:—
“(২) ওয়ার্ড সভার কোরাম সর্বমোট ভোটার সংখ্যার ৫ (পাঁচ) শতাংশ ভোটার দ্বারা গঠিত হইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, মূলতবি সভার জন্য কোরাম আবশ্যক হইবে না, যাহা ৭ (সাত) দিন পর একই সময় ও স্থানে অনুষ্ঠিত হইবে|”|
৫| ২০০৯ সনের ৬১ নং আইনের ধারা ১০ এর সংশোধন৫| উক্ত আইনের ধারা ১০ এর উপ-ধারা (৫) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (৫) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:—
“(৫) দায়িত্ব পালনকালীন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সম্মানী পাইবেন|”|
২০০৯ সনের ৬১ নং আইনের ধারা ১১ এর সংশোধন৬। উক্ত আইনের ধারা ১১ এর উপ-ধারা (৩) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (৩) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:—
“(৩) উপ-ধারা (১) অনুযায়ী জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডসমূহের ক্রমিক নম্বর এবং উক্ত ওয়ার্ডের স্থানীয় সীমানা নির্দিষ্ট করিতে হইবে।”।
২০০৯ সনের ৬১ নং আইনের ধারা ১৮ এর সংশোধন৭। উক্ত আইনের ধারা ১৮ এর উপ-ধারা (১) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (১) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:—
“(১) কোন এলাকাকে ইউনিয়ন ঘোষণার বা পরিষদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হইবার পর ইহার কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য সরকার ১ (এক) জন উপযুক্ত কর্মকর্তা বা উপযুক্ত ব্যক্তিকে প্রশাসক হিসাবে নিয়োগ করিবে এবং নির্বাচিত পরিষদ গঠন না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসক ইউনিয়ন পরিষদের সার্বিক দায়িত্ব পালন করিবেন:
তবে শর্ত থাকে যে, উপধারা (১) এর অধীন নিযুক্ত প্রশাসক কেবলমাত্র ১ (এক) মেয়াদে ১২০ (একশত বিশ) দিনের জন্য নিযুক্ত হইবেন:
আরো শর্ত থাকে যে, কোনো দৈব-দুর্বিপাক, অতিমারি, মহামারি, ইত্যাদি বিশেষ ক্ষেত্রে সরকার উক্ত মেয়াদ যৌক্তিক সময় বৃদ্ধি করিতে পারিবে।”
২০০৯ সনের ৬১ নং আইনের ধারা ২৯ এর সংশোধন৮। উক্ত আইনের ধারা ২৯ এর—
উপ-ধারা (২) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (২) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:—
“(২) নির্বাচন সম্পন্ন হইবার পর অবিলম্বে চেয়ারম্যান ও সদস্যের নাম সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হইবে এবং তাঁহাদের শপথ গ্রহণের তারিখ হইতে পরবর্তী ১০ (দশ) কার্যদিবসের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হইবে|”; এবং
খ) উপ-ধারা (৫) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (৫) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:—
“(৫) দৈব-দুর্বিপাক বা অন্য কোন কারণে নির্ধারিত ৫ (পাঁচ) বৎসর মেয়াদের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব না হইলে, সরকার লিখিত আদেশ দ্বারা, নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত, পরিষদের কার্যাবলী পরিচালনার জন্য ১ (এক) জন উপযুক্ত কর্মকর্তা বা উপযুক্ত ব্যক্তিকে প্রশাসক হিসাবে নিয়োগ করিতে পারিবে এবং প্রশাসকের মেয়াদ হইবে ধারা ১৮ এ বর্ণিত প্রশাসকের মেয়াদের অনুরূপ|”|
২০০৯ সনের ৬১ নং আইনের ধারা ৩০ এর প্রতিস্থাপন৯। উক্ত আইনের ধারা ৩০ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ৩০ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:—
“৩০। দায়িত্ব হস্তান্তর|—পরিষদ গঠনের বা প্রশাসক নিয়োগের পর, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, পূর্ববর্তী চেয়ারম্যান বা প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য বা প্রশাসক তাহার দখলে বা নিয়ন্ত্রণে থাকা পরিষদের সকল নগদ অর্থ, পরিসম্পদ, দলিল-দস্তাবেজ, রেজিস্টার ও সিলমোহর যথাশীঘ্র সম্ভব অথবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক স্থিরীকৃত তারিখ, সময় ও স্থানে নূতন নির্বাচিত চেয়ারম্যান, বা ক্ষেত্রমত, প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য বা প্রশাসকের নিকট উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মনোনীত ১ (এক) জন প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তার উপস্থিতিতে বুঝাইয়া দিবেন|”|
২০০৯ সনের ৬১ নং আইনের ধারা ৩১ এর সংশোধন১০। উক্ত আইনের ধারা ৩১ এর উপ-ধারা (১) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (১) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:—
“(১) যদি কোন চেয়ারম্যান বা চেয়ারম্যানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কোন সদস্য বা প্রশাসক ধারা ৩০ অনুযায়ী নির্ধারিত পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দায়িত্ব হস্তান্তর করিতে ব্যর্থ হন, তাহা হইলে তাহার বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে তাহার উপর অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা জরিমানা আরোপিত হইবে|”|
২০০৯ সনের ৬১ নং আইনের ধারা ৩২ এর সংশোধন১১। উক্ত আইনের ধারা ৩২ এর উপ-ধারা (২) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (২) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:—
“(২) চেয়ারম্যান এতদুদ্দেশ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট, তাহার পদত্যাগ করিবার অভিপ্রায় লিখিতভাবে আবেদন করিয়া পদত্যাগ করিতে পারিবেন এবং উক্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক পদত্যাগপত্র গৃহীত হইবার সঙ্গে সঙ্গে উক্ত চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হইবে|”|
২০০৯ সনের ৬১ নং আইনের ধারা ৪৬ এর সংশোধন১২। উক্ত আইনের ধারা ৪৬ এর—
(ক) উপ-ধারা (২) এর দফা (ঘ) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ দফা (ঘ) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:—
“(ঘ) তিনি ও ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তার যৌথ স্বাক্ষরে পরিষদের সকল আয় ব্যয়ের হিসাব পরিচালনা করিবেন;”;
উপ-ধারা (৫) এর—
(অ) দফা (খ) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ দফা (খ) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:—
“(খ) এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধির পরিপন্থি এবং প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলার কারণে ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং হস্তান্তরিত অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারী ব্যতীত পরিষদের নিয়ন্ত্রণাধীন অন্যান্য কর্মচারীকে প্রয়োজনে যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করিয়া সাময়িক বরখাস্ত করিতে পারিবেন;”; এবং
(আ) দফা (গ) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ দফা (গ) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:—
“(গ) ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তার নিকট হইতে পরিষদের প্রশাসনিক বিষয় সংক্রান্ত যেকোন ক্লাসিফাইড রেকর্ড বা নথি লিখিতভাবে তলব করিতে এবং আইন ও নির্ধারিত পদ্ধতিতে আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন; তবে তিনি এইরূপ কোন ক্লাসিফাইড রেকর্ড বা নথি তলব করিতে পারিবেন না, যাহা সম্পূর্ণরূপে ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা বা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে থাকিবে;”|
২০০৯ সনের ৬১ নং আইনের ধারা ৭১ এর সংশোধন১৩। উক্ত আইনের ধারা ৭১ এর উপ-ধারা (৪) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (৪) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:—
“(৪) পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও অন্যান্য কর্মকর্তা বা কর্মচারী উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত সরকার বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে সহযোগিতা করিতে বাধ্য থাকিবেন।”|
২০০৯ সনের ৬১ নং আইনের দ্বিতীয় তফসিলের সংশোধন১৪। উক্ত আইনের দ্বিতীয় তফসিলের—
(ক) ক্রমিক নং ১১ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ক্রমিক নং ১১ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:—
“১১। আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারের অর্পিত দায়িত্ব পালন ও প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ এবং গ্রাম আদালত পরিচালনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।”;
(খ) ক্রমিক নং ১৯ এরপরিবর্তে নিম্নরূপ ক্রমিক নং ১৯ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:—
“১৯। বর্জ্য সংগ্রহ, অপসারণ ও ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা।”; এবং
(গ) ক্রমিক নং ২১ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ক্রমিক নং ২১ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:—
“২১। মৃত পশুর দেহ অপসারণ ও নিয়ন্ত্রণ এবং পশু জবাই নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনা।”|
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS